সিলেট–ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কে পরিকল্পিত ডাকাতি: গ্রেফতার ৩, লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার।


নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেট–ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কে স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিসের একটি কাভার্ড ভ্যান থামিয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাতরা প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে। ঘটনার পর দ্রুত তদন্তে নামে পুলিশ। মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে গ্রেফতার করা হয় তিন ডাকাতকে এবং উদ্ধার করা হয় লুণ্ঠিত মালামালের উল্লেখযোগ্য অংশ।


ঘটনার বিবরণী জানা যায় গত ১ ডিসেম্বর গভীর রাতে কুরিয়ার সার্ভিসের কাভার্ড ভ্যানটি লালমাটিয়া এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ করে একটি সাদা নোহা কার ও একটি প্রাইভেট কার সামনে এসে গতিরোধ করে।

পরিকল্পিতভাবে তৈরি এ ব্যারিকেডের পর গাড়ি থেকে নেমে আসে ৬–৭ জন সশস্ত্র ডাকাত। তারা প্রথমেই চালক ও হেলপারকে মারধর করে রাস্তার পাশে জিম্মি করে ফেলে। এরপর কনটেইনার খুলে ভ্যানের ভেতর থাকা ব্যবসায়িক পণ্য ও দুটি মোবাইল ফোন লুট করে নেয়।ঘটনার পর চালক ও হেলপার স্থানীয়দের সহায়তায় মোগলাবাজার থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, সন্দেহভাজন গাড়িগুলোর গতিপথ অনুসরণ এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ডাকাত চক্রের পরিচয় শনাক্ত করে।
এরপর টানা অভিযানে প্রথমে গ্রেফতার করা হয় সাকেল আহমদ (৩৩)-কে। তার তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ আরও অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে আক্তার হোসেন (৩৪) এবং রিহাদ আহমেদ (৩৭)-(কাউন্সিলর পদপ্রার্থী )কে।তিনজনই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

গ্রেফতারের পর রিহাদ আহমেদের দেওয়া তথ্য মতে পুলিশ তার বাড়ির সীমানার ভেতরে অনুসন্ধান চালায়। সেখানে প্লাস্টিকের বস্তা ও কার্টুনে রাখা লুণ্ঠিত মালামাল পাওয়া যায়।পুলিশ ঘটনাস্থলেই এসব বস্তা ও কার্টুন খুলে কুরিয়ার কোম্পানির কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মালামাল শনাক্ত করে। উদ্ধারকৃত মালামাল পরে মোগলাবাজার থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

ঘটনাটি অস্ত্রসজ্জিত সংঘবদ্ধ ডাকাতির শ্রেণিভুক্ত হওয়ায় পুলিশ ধারা ৩৯৫/৩৯৭–এ মামলা রুজু করেছে। বাকি পলাতক সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url