পিলখানা হত্যাকাণ্ড: শহীদ সেনা পরিবারের ক্ষোভ ও নতুন আন্দোলনের প্রস্তুতি।
পিলখানায় ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হিসেবে চিহ্নিত। তখনকার বিডিআর সদস্যরা বিদ্রোহ করে সেনাবাহিনীর ৫৭ জন কর্মকর্তা এবং তাঁদের পরিবার-পরিজনকে হত্যার পাশাপাশি তাদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। সেনা কর্মকর্তাদের লাশগুলো নানা অমানবিকভাবে গুম করা হয়েছিল। হত্যাকাণ্ডের পর লুটপাট, ধ্বংসযজ্ঞ এবং নারী ও শিশুদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়।
এ হত্যাকাণ্ডের পর বিডিআর সদস্যদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা হয় এবং আদালতে বিচারকার্য শুরু হয়। ২০১৩ সালে কিছু অভিযুক্ত ব্যক্তির সাজা দেওয়া হয়, তবে কিছু আসামি এখনও মামলা আপিলের মধ্যে রয়েছে। সম্প্রতি, অনেক বিডিআর সদস্য জামিনে মুক্তি পেয়েছেন, যা শহীদ সেনা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ এবং উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। তারা দাবী করছেন, যে অপরাধীরা সাজাপ্রাপ্ত, তাদের শাস্তি যেন অবিলম্বে কার্যকর করা হয়, এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
এছাড়া, শহীদ পরিবারের সদস্যরা ২৫ ফেব্রুয়ারিকে "জাতীয় শহীদ সেনা দিবস" হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে আসছেন। তাদের ভাষ্যমতে, জামিন প্রাপ্ত বিডিআর সদস্যদের মুক্তির দাবি অপমানজনক এবং শহীদদের পরিবারের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, এমনকি নতুন আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।