দেশের মৌলবাদীদের উত্থান বিশ্ব সম্প্রদায়ের চোখ বাংলাদেশের দিকে।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলোর উত্থান একটি উদ্বেগজনক বিষয় হিসেবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিশেষ করে, ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সময় থেকে এ প্রবণতা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। 
মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা যে কোনো রাষ্ট্রের উন্নয়ন ও সামাজিক সম্প্রীতির জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। পাকিস্তান এই সমস্যার কারণে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়েছে, এবং ভারতেও সাম্প্রদায়িকতা বৃদ্ধির ফলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বাংলাদেশেও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা দেশের স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির জন্য হুমকিস্বরূপ। 

এছাড়া, নারীর অধিকার ও সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলোর বিরোধিতা লক্ষণীয়। ১৯৯৭ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার প্রথম 'জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি' ঘোষণা করে, যা নারীর সমঅধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গৃহীত হয়েছিল। তবে, মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলো এই নীতির বিরোধিতা করে এবং নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে বাধা সৃষ্টি করে আসছে। 

বর্তমান সরকারের আমলে মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে আপস না করে তাদের উৎস নির্মূল করার আহ্বান জানানো হয়েছে। নারীবিদ্বেষী ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সরকারের মিতালি দেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন। 

সাম্প্রতিক সময়ে, আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে এ দেশে কোনো দিন মৌলবাদী নীতির ঠাঁই হবে না। 

সর্বোপরি, বাংলাদেশে মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলোর উত্থান দেশের উন্নয়ন, সামাজিক সম্প্রীতি ও নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে বড় বাধা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এ সমস্যার সমাধানে সরকার ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url