জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন থেকে আমেরিকা প্রত্যাহার: বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতিফলন।


প্রথম থেকেই জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনে আমেরিকার সদস্যপদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পেছনে ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দৃঢ় অবস্থান, যা তার সরকারের ডিপ স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ হিসেবে দেখা হয়। ট্রাম্পের ভাষায়, জাতিসংঘের বেশ কিছু সম্ভাবনা থাকলেও, তারা কার্যকরভাবে কাজ করেনি এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমেরিকার বিরুদ্ধে কাজ করেছে, যা তাকে বিতর্কিত করে তুলেছে। জাতিসংঘের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের এই অভিযোগ মূলত তার দৃশ্যপট থেকে, যেখানে তিনি বিশ্বাস করেন যে কমিশনটি মানবাধিকার ইস্যুতে নিরপেক্ষ নয় এবং একপেশে কাজ করছে।


এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেছেন, "জাতিসংঘের অনেক সম্ভাবনা ছিল। তবে তারা সেটি পূর্ণ করতে পারেনি। তারা আমেরিকার বিরুদ্ধে কাজ করেছে।" তিনি আরও জানান, অনেক দেশ তাদের কাছে ন্যায্যতা দাবী করে, কিন্তু জাতিসংঘ সেসব দাবী বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে।

এখন, এমন সময় যখন বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক ঘটনাগুলোর প্রতি আন্তর্জাতিক মহলের নজর ছিল, বিশেষ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় তার তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছে, মার্কিন সরকারের থিংকট্যাংকগুলোও এই পরিস্থিতিকে ডিপ স্টেটের একটি কদর্য কাজ হিসেবে চিহ্নিত করছে। তাদের মতে, বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের কার্যক্রম এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা মার্কিন ডিপ স্টেটের প্রভাবশালী কাজের উদাহরণ হিসেবে ধরা হতে পারে।

এই থিংকট্যাংকগুলো এবং তাদের আইনজ্ঞরা নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিশদভাবে পর্যবেক্ষণ করবে এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করবে। তবে, তাদের মতে, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত রিপোর্ট হবে শুধু একটি দলিল, যা মার্কিন ডিপ স্টেট তথা ডেমোক্র্যাটদের মিথ্যা ও প্রোপাগান্ডার প্রতিফলন হিসেবে পরিচিত হতে পারে।

এই রিপোর্ট জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের নির্বুদ্ধিতা এবং অসততার একটি নজির হতে পারে, যেখানে তাদের দায়িত্বহীনতা এবং পক্ষপাতিত্বপূর্ণ মনোভাব স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url