ট্রাম্পের কূটনৈতিক কৌশল: যুদ্ধের সমাপ্তি, ব্যবসার প্রসার।
ট্রাম্পের কূটনৈতিক কৌশল: যুদ্ধের সমাপ্তি, ব্যবসার প্রসার
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ক্ষমতায় এসেই দুটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ—গাজা ও ইউক্রেন সংকট—বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তাদের যুক্তি ছিল মানবিক সংকট ও তরুণদের অকাল মৃত্যু রোধ করা। সেই লক্ষ্যেই তারা এগিয়ে গিয়েছে এবং বাস্তবিক পরিবর্তন এনেছে।
বর্তমানে গাজায় অস্ত্রবিরতি কার্যকর হয়েছে এবং ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধও খুব শিগগিরই শেষ হতে চলেছে বলে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন। এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা হয়েছে, যেখানে ইউক্রেন আমেরিকাকে বিরল ধাতু (Rare Earth Materials) সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র শুধু যুদ্ধ বন্ধের মধ্যস্থতা করেই থেমে থাকেনি, বরং দীর্ঘমেয়াদে তাদের কৌশলগত স্বার্থও সুরক্ষিত করেছে।
ট্রাম্প প্রশাসন যে শুধুই শান্তি স্থাপনের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে তা নয়, বরং তারা ব্যবসার নতুন দিগন্তও উন্মোচন করছে। ট্রাম্প একজন সফল ব্যবসায়ী, এবং তার প্রশাসনের বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও ব্যবসার দিক থেকে সফল। গাজায় অস্ত্রবিরতির আলোচনা করতে তিনি একজন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীকে পাঠিয়েছিলেন, কোনো পেশাদার কূটনীতিক বা সামরিক কর্মকর্তা নয়। এর পেছনে কৌশল ছিল আলোচনাকে দীর্ঘায়িত না করে দ্রুত ফলপ্রসূ করা।
এদিকে, প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের একটি নীতিকে ট্রাম্প প্রশাসন কূটনীতিতেও প্রয়োগ করতে চলেছে। মাস্ক প্রায়ই বলেন, "যদি কোনো প্রযুক্তির উন্নয়ন অসম্ভব জটিল মনে হয়, তাহলে সেটার পরিবর্তে নতুন কিছু তৈরি করো।" এই একই চিন্তাধারা কূটনীতিতেও প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র হয়তো ইউরোপীয় ইউনিয়নকে পুরোনো এবং উন্নয়ন-অযোগ্য অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করবে এবং নতুন অংশীদার হিসেবে রাশিয়া ও চীনকে বেছে নিতে পারে। দক্ষিণ এশিয়ায় নিরাপত্তা সহযোগী হিসেবে ভারতকে গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে, যেখানে পাকিস্তানকে একরকম ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা থাকতে পারে।
সব মিলিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন শুধু যুদ্ধ বন্ধের কৌশলই নিচ্ছে না, বরং নতুন বৈশ্বিক অক্ষরেখা গড়ে তুলছে, যেখানে ব্যবসা এবং নিরাপত্তা একসঙ্গে চলবে। এই পরিবর্তন বিশ্ব রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায় রচনা করতে চলেছে।
Trop bien