সেনাপ্রধানের ঘড়ি মৃত্যুর বার্তা! ইরানের জেনারেল বাঘেরির প্রাণ গেল পাকিস্তানি ষড়যন্ত্রে?



মারুফ মল্লিক, ১৭ জুন ২০২৫ –
বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চে আবারও পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে ঘিরে উঠেছে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। ইরানের প্রভাবশালী সেনাপ্রধান জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি’র রহস্যময় মৃত্যুর পেছনে উঠে আসছে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের নাম।
গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, মুনিরের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে প্রাপ্ত একটি ঘড়ির ভেতরেই লুকিয়ে ছিল ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের উন্নতমানের ট্র্যাকিং ডিভাইস। ফলে বাঘেরি সেনানিবাসের নিরাপদ পরিসর ছেড়ে যখন স্ত্রী ও কন্যার সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন, তখনও তার অবস্থান জানতে ইসরায়েলের সময় লাগেনি এক সেকেন্ডও।

একটি ড্রোন স্ট্রাইকে মুহূর্তেই শেষ হয় ইরানের সর্বোচ্চ সামরিক মেধার জীবন। তেহরান জ্বলছে ক্ষোভে, আর ইসলামী বিশ্বের প্রশ্ন—“ঘড়ি উপহার নাকি মৃত্যুর সনদ?”

বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি এক ঘৃণ্য চক্রান্ত—ইসলামী শক্তির মূল স্তম্ভকে দুর্বল করতে মোসাদ-পাকিস্তান আঁতাতের পরিণতি। অতীতে এর উদাহরণও রয়েছে। আফগানিস্তানের জাতীয় বীর আহমেদ শাহ মাসুদের হত্যাকাণ্ডে ভিডিও ক্যামেরার ভেতর লুকানো বোমা ব্যবহার করেছিল পাকিস্তান সংযুক্ত চক্র। ইতিহাস যেন নিজেই পুনরাবৃত্ত হচ্ছে।

গাদ্দার পাকিস্তান আবার প্রমাণ করলো নিজের ভূমিকা—

তালেবানকে সশস্ত্র করানো
কাশ্মীরে অস্থিরতা উসকে দেওয়া
সৌদি-ইরান সেতুবন্ধন নস্যাৎ করার চক্রান্ত
এখন ইরানের সেনাপ্রধানকে সরিয়ে দেওয়া—মধ্যপ্রাচ্যে শক্তি ভারসাম্য ধ্বংসে গোপন মিশন?

বিশ্ব মিডিয়া ইতোমধ্যেই ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে:
👉 কাকে টার্গেট করছে পাকিস্তান এবার?
👉 মুসলিম বিশ্বের ভেতরে ভাঙন ধরানো কি তাদের সুপরিকল্পিত উদ্দেশ্য?

ইরানের প্রতিক্রিয়া:
ইরানি সংসদের একাধিক সদস্য সরাসরি পাকিস্তানকে “ইসলামী দুনিয়ার ট্রয়ান হর্স” আখ্যা দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়েছে:

> “যে ঘড়ি সময় বলে, সেই ঘড়িই আমাদের একজন মহান নেতাকে নিয়ে গেল চিরকালের জন্য।”

বিশ্ববাসীর কাছে এখন একটাই প্রশ্ন—
মুনিরের ঘড়ি কি ছিল এক মোসাদ-ক্যানাল?
গাদ্দার পাকিস্তান কতদূর যাবে বিশ্ব ইসলাম ধ্বংসে?

Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url