ডাকাতি ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও গ্রেফতার: পুলিশের তৎপরতায় স্বস্তি ও প্রশংসা।





নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেট–ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কে কুরিয়ার ভ্যান ডাকাতির ঘটনার পর যে দ্রুততা ও দক্ষতার সঙ্গে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করেছে, তা স্থানীয় জনগণের মাঝে ব্যাপক প্রশংসার জন্ম দিয়েছে। মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার এবং লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করায় পুলিশের কার্যক্রমকে জনসাধারণ “উদাহরণযোগ্য” বলে মন্তব্য করছেন।
গত ১ ডিসেম্বর গভীর রাতে সংঘটিত ডাকাতির মামলাটি হাতে পাওয়ার পরই মোগলাবাজার থানা পুলিশ তদন্তে নামেন। সড়কের বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ, সন্দেহভাজন গাড়ির গতিপথ বিশ্লেষণ এবং গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ দ্রুত প্রধান সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করে।

পুলিশ সূত্র জানায়, ঘটনার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গুরুত্বপূর্ণ আলামত সংগ্রহ করা হয়। একই রাতে একাধিক টিম মাঠে কাজ শুরু করে।

তদন্তের মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে প্রথমে সাকেল আহমদ (৩৩) কে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার তথ্য অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে আক্তার হোসেন (৩৪) এবং রিহাদ আহমেদ (৩৭)–কে গ্রেফতার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে তিনজনেই ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে। গ্রেফতারের খবরে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তির বয়ে যায়।

গ্রেফতারদের দেয়া তথ্য মতে পুলিশ একাধিক স্থানে অনুসন্ধান চালায়। এর মধ্যে রিহাদ আহমেদের বাড়ির সীমানার ভেতর থেকে প্লাস্টিকের বস্তা ও কার্টুনে রাখা লুটকৃত মালামাল উদ্ধার করা হয়। কুরিয়ার কোম্পানির কর্মকর্তারা এসে মালামালগুলো শনাক্ত করেন।

পুলিশ জানায়, উদ্ধারকৃত মালামালের মধ্যে ব্যবসায়িক পণ্য, ইলেকট্রনিক সামগ্রীসহ বেশ কিছু মূল্যবান আইটেম ছিল।

পুলিশি তৎপরতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্থানীয় মহলে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
একাধিক ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন—
“এভাবে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতদের ধরা না হলে জনগণের ভয় আরও বাড়ত। পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপ আমাদের আস্থা ফিরিয়ে দিয়েছে।”

একজন স্থানীয় পরিবহন শ্রমিক বলেন—
“সড়কে নিরাপত্তাহীনতা বাড়ছিল। এবার পুলিশের কাজ আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।”

মোগলাবাজার থানার একজন কর্মকর্তা জানান—
“ঘটনাটি অতি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হয়েছে। আমরা দ্রুত চক্রটিকে শনাক্ত করতে পেরেছি। বাকি পলাতক সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

সিলেট–ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কে ডাকাতির মতো গুরুতর অপরাধের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে  অ্যাকশন—তা এলাকায় স্বস্তির পরিবেশ ফিরিয়ে এনেছে। জনমনে আস্থার জায়গা তৈরি করেছে পুলিশের এ সফলতা।
স্থানীয়রা আশা করছেন, এ ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকলে সড়কে ডাকাতি, ছিনতাই ও অপরাধের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে।
Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url